‘মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি’: রিজভীর বক্তব্য নিয়ে হাছান
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের বন্দুকযুদ্ধে নিহতের প্রসঙ্গে বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সোমবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. হাছান বলেন, যারা জীবন্ত মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়ে মানুষ হত্যা করে উল্লসিত হয়, তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যখন সরকার কঠোর হচ্ছে তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি। আজকেও যখন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে তখনও তারা মাদকাসক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে।অর্থাৎ জঙ্গির পৃষ্টপোষক আর মাদক এবং মাদকাসক্তের পৃষ্টপোষক হচ্ছে বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, রাজনৈতিকভাবে ব্যার্থ হয়ে স্বাধীনতার বিরুদ্ধচারীরা ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধচারীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পথ বেঁচে নিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আজও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং অন্যান্যরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ঠিক একইভাবে তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই ষড়যন্ত্রেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরীর বক্তব্যের মাধ্যমে। বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পত্র-পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি রিজভী ও ফখরুল সাহেবের মধ্যে সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যার কারণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতাদের সমালোচনার প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অবান্তর কথা বলছেন তারা। আমি তাদের বলতে চাই আপনারা অবান্তর কথা বলবেন না এবং মাদকাসক্তদের পাশে দাঁড়ানোর ভূমিকা থেকে সরে আসুন। আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্ব-রাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানাসহ প্রমুখ।